#Facebook সমন্ধে কিছু প্রশ্নের উত্তর, যা জেনে রাখা প্রতিটি মানুষ এর ই দরকার সেই সাথে প্রয়োজন। সেই জন্যই আমার আজকের এই পোস্টটা লেখা।
#ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যত বাড়ছে, ততই নিয়মনীতি মানার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুকের নিয়মনীতি থেকে সামান্য বিচ্যুত হলেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ ও নিষ্ক্রিয় করার ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট দ্রুত উদ্ধার করা যায়। কিন্তু যখন ফেসবুকের নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয় থাকে, তখন বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন ১ : ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কেন বন্ধ হয়?
উত্তর : ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার কারণ তিনটি। সাইট রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রুটি ও নিরাপত্তা। অ্যাকাউন্ট উদ্ধারের জন্য ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগের আগে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ বোঝা দরকার। এতে ফেসবুক টিমের কাছে অ্যাকাউন্ট উদ্ধারের বিষয়টি ঠিকভাবে উপস্থাপন করা যায়।
সাধারণত সাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ হয়ে গেলে তা দ্রুত ঠিক করা যায়। এ রকম হলে ফেসবুক নিজ থেকে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে দেয়।
ব্যবহারকারী বা সিস্টেম ত্রুটির কারণেও কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফেসবুকের কাছে কোনো অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কনটেন্ট ও স্প্যাম ছড়ানোর অভিযোগ যায়। ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ফেসবুককে কেউ অভিযোগ (রিপোর্ট) দিলে ব্যবহারকারীর সে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়ার অভিযোগ পেলে ফেসবুক সে অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে যদি ভুলবশত অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে, তবে ফেসবুকের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল বা আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি ফরম পূরণ করতে হয়।
https://www.facebook.com/help/contact/logout... —এ ফরম জমা দিলে ফেসবুক বিষয়টি তদন্ত করে। তবে মনে রাখতে হবে, ওই অনুরোধ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিক করা হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখে ফেসবুক।
ফেসবুক তাদের নিরাপত্তা পদক্ষেপের বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। যদি কোনো অ্যাকাউন্ট ফেসবুক কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করে, তখন এর সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্ল্যাগ বা পতাকা দেখিয়ে রিভিউ বা পর্যালোচনার জন্য রাখা হয়। তখন ব্যবহারকারী তাঁর অ্যাকাউন্টে আর ঢুকতে পারেন না। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীর অ্যাকসেস বন্ধ হয়ে যায়। ফেসবুক যেসব বিষয়কে নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে রাখে, তার মধ্যে আছে ভুয়া পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি, অবৈধ কনটেন্ট প্রচার করা, ডেটিংয়ের জন্য অযাচিত যোগাযোগ, অন্য ব্যবহারকারীকে নিপীড়ন বা বিরক্ত করা, অনুপযুক্ত বা স্প্যাম বিজ্ঞাপন। এ ছাড়া সাধারণ সন্দেহজনক কার্যক্রমকেও নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলেছে ফেসবুক। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ ধরতে না পারলেও কয়েকটি উপায়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে যাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে ফটো আইডি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। ফেসবুকের যদি সন্দেহ হয় যে আপনার একাধিক অ্যাকাউন্ট আছে কিংবা ভুয়া নাম দিয়ে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, তবে অ্যাকাউন্ট উদ্ধারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে আপনার কাছে একটি বার্তা দেখাবে। এতে লেখা থাকবে ‘We'll get in touch with you at the email address you provided after we've reviewed your ID. You will now be locked out of Facebook’ এ ক্ষেত্রে ফেসবুক তদন্ত শেষ না করে যোগাযোগ করা পর্যন্ত আর কিছু করার নেই। অনেক সময় ফেসবুক বাড়তি তথ্য পর্যালোচনা করে। তখন ব্যবহারকারী একটি বার্তা পান যাতে লেখা হয় ‘Unfortunately, you won't be able to access your account while we're reviewing these additional documents. We appreciate your patience, and we'll get back to you as soon as we can. এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পরিচয় শনাক্ত করতে বাড়তি তথ্য ফেসবুককে দিতে হবে।
ফেসবুক কী ধরনের ডকুমেন্ট গ্রহণ করে, কীভাবে তা আপলোড করতে হবে, আপলোড করার প্রয়োজনীয়তা এবং ডকুমেন্ট আপলোড করার পরে কী ঘটে তা জানার লিংক https://www.facebook.com/help/contact/260749603972907 ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধারে তথ্য দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন ঠিকমতো স্ক্যান করা হয়। এতে নাম, জন্মদিন, ছবি ঠিকমতো যাতে দেখা যায়। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে কম্পিউটারে নিতে হবে। এরপর ফেসবুকের কন্টাক্ট ফরমে গিয়ে আইডি আপলোড করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অ্যাকাউন্ট ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বা অনুরোধে সাড়া দিতে সপ্তাহ পর্যন্ত লাগাতে পারে ফেসবুক। তবে অ্যাকাউন্ট তৈরিতে ভুয়া আইডি ব্যবহার করা হয়, তবে অ্যাকাউন্ট ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফেরত পাওয়ার সময় নির্ভর করে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণের ওপর। অ্যাকাউন্ট পাইরেটেড, ফিশিং আক্রমণের শিকার বা হ্যাক হলে তা বন্ধ করে দিতে পারে ফেসবুক। এ ক্ষেত্রে দুইভাবে এগোনো যায়। ব্রাউজার পরিষ্কার ও বাড়তি যাচাই বা ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ৯৬ ঘণ্টা ফেসবুক চালুর চেষ্টা না করা ভালো। ব্রাউজার ক্যাশ পরিষ্কার ও কুকি মুছে দিয়ে অ্যাকাউন্ট চালু করতে হবে। তারপরও যদি ফেসবুকে ঢোকা না যায়, তবে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করে ফেসবুক থেকে কোড নিয়ে অনলাইনে ঢোকা যাবে। আরেকটি উপায় হচ্ছে বন্ধুদের ট্যাগ করা ছবিতে তাদের শনাক্ত করে।
অবশ্য অ্যাকাউন্ট লক হওয়া ঠেকানো বা সব সময় চালু রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার শতভাগ কোনো উপায় নেই। তবে কিছু উপায়ে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া ঠেকানো যায়। শুরুতেই ফেসবুকের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কিত বিবৃতি পর্যালোচনা করে দেখা (Facebook's Statement of Rights and Responsibilities) এবং ফেসবুকের নিয়মনীতি মানা। প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার না করা। একই সময়ে একাধিক ডিভাইস থেকে ফেসবুকে না ঢোকা। এটি ফেসবুক নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করে। তথ্যসূত্র: ফেসবুক, সিসিএম, দ্য নেক্সট ওয়েব।
প্রশ্ন ২ : ফেসবুক এর কোন আইডিতে রিপোর্ট মারলে, আইডি কি বন্ধ হয়ে যায়.?
উত্তর : ফেসবুক এর কোন IDতে রিপোর্ট মারলে, ফেসবুক প্রথমে সেই রিপোর্ট এর ব্যাপারে অনুসন্ধান করে যে রিপোর্টটা সত্যি ই কি তাদের আইন এর বিরুদ্ধে কি না। যদি তারা দেখে রিপোর্টটা যৌক্তিক তাহলে তারা প্রথমে আইডি এর ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে, এর পর কাজ না হলে আইডিটা পার্মানেন্টলি বন্ধ করে দিবে।
প্রশ্ন ৩ : অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছে যে, ভাই কারো আইডিতে রিপোর্ট মারলে কি সে বুঝতে পারবে যে কে মেরেছে সেই সাথে কয়টা রিপোর্ট মারলে আইডি বন্ধ হয়.?
উত্তর : না এটা ফেসবুক প্রকাশ করে না। এটা টোটালি গোপনীয় থাকে আর হ্যাঁ একটা রিপোর্ট দিয়েও ফেসবুক এর আইডি বন্ধ করা যায়, আবার হাজার হাজার রিপোর্ট দিলেও আইডি বন্ধ করা যায় না, এটা টোটালি নির্ভর করবে, রিপোর্টটা সত্যি সেই সাথে যৌক্তিক কি না, আর সেটা কতোটুকু তার উপরে। যদি রিপোর্ট যৌক্তিক সেই সাথে লিগ্যাল হয় তাইলে অনেক সময় একটা কিংবা দুইটা রিপোর্ট এও কাজ হয়ে যায় আর সেই আইডি এর রিপোর্ট এর ব্যাপারে কোন যৌক্তিকতা না থাকলে সেই সাথে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি এটার কোন ভিত্তি খুঁজে না পায়, তাইলে হাজার হাজার রিপোর্ট এও কাজ হবে না।
প্রশ্ন ৪ : ফেসবুক আইডি আমরা কিভাবে নিরাপদ রাখতে পারি.?
1. পাসওয়ার্ড: ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় বা এটি কারো সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক না। পাসওয়ার্ড হতে হবে ছোটবড় অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে, অন্ততপক্ষে কম করেও হোক সেটা ১০-১২ সংখ্যার, পাসওয়ার্ড এর মধ্যে ( স্পেস, @, -, _ ) এই রেখাগুলো রাখা ভালো, যেন সহজে কেউ ধারণা করতে না পারে।
2. লগইন: কখনোই ফেসবুকের লগইন তথ্য ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও প্রবেশ করানো যাবে না। অনেক সময় স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুকের আইডির লগইন ইমেইল বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে আগে সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল দেখে নিন। ফেসবুকের বাইরে আরো কোন শব্দ সেখানে থাকলে বা কোন সন্দেহ হলেই www.facebook.com টাইপ করে একাউন্ট খুলুন।
যেখানে অনেক ব্যক্তি একই কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেখানে ফেসবুক কিংবা আপনার পার্সোনাল কিছুই ভুলেও ব্যবহার করতে যাবেন না আর যদি খুব দরকারী হয় সেইক্ষেত্রে অবশ্যই ফেসবুক ব্যবহার শেষে লগআউট করেন আর সেই সাথে ক্যাশটা ক্লিনিং করে দিবেন।
3. বন্ধু গ্রহণে সতর্কতা: ফেসবুকের পরামর্শ, কখনোই এমন কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ না করা, যাকে আপনি চেনেন না। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা হয়তো মিথ্যা পরিচয়ে আপনার বন্ধু হয়ে আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে পারে, আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে বা হ্যাকিংয়ের মেসেজ পাঠাতে পারে।
4. দূষিত সফটওয়্যার বা কম্পিউটার: অনেক সময় আপনার ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার, এমনকি ক্রোম বা ফায়ারফক্সের মতো ব্রাউজিং সফটওয়্যার বিশেষ কোড দ্বারা আক্রমণের শিকার হতে পারে। যদি আপনার একাউন্ট থেকে নিজে নিজেই অন্যদের কাছে বার্তা যেতে থাকে, বা একাউন্ট ব্যবহারের ভুল ইতিহাস দেখায় অথবা অ্যাকটিভিটি লগে এমন সব পোস্ট দেখতে পান, যা আপনি মনে করতে পারছেন না, তখন আপনার সতর্ক হওয়া উচিত।কম্পিউটার বা মোবাইল খুব আস্তে কাজ করছে, এমন সফটওয়্যার দেখতে পাচ্ছেন যা আপনি ইন্সটল করেননি, আপনার সার্চ ইঞ্জিন পাল্টে গেছে কিন্তু আপনি তা করেননি,তখনো বুঝতে হবে হয়তো আপনি আক্রান্ত হয়েছেন। এ ধরণের ক্ষেত্রে ESET ( https://www.eset.com/... ) বা TrendMicro ( https://www.trendmicro.com/en_gb/business.html ) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার বা মোবাইল পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক। ক্রোম ক্লিন আপ টুল ব্যবহার করে ব্রাউজার দূষণ মুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়া ওয়েব ব্রাউজার নিয়মিত আপডেট করা উচিত।কখনোই সন্দেহজনক কোন লিংকে ক্লিক করবেন না: যদি ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোন ইমেইল, মেসেঞ্জারে বার্তা, বা পোস্ট পান, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না দেয়া। যেমন কেউ হয়তো লিখতে পারে যে, সে কোথাও বেড়াতে গিয়ে বিপদে পড়েছে অথবা আপনার মেসেঞ্জারে এমন একটি লিংক পাঠিয়েছে, যার কোন কারণ নেই। এক্ষেত্রে তাকে আলাদাভাবে একাউন্টে নক করে বা বার্তা পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন। এ ধরণের সন্দেহজনক কিছু দেখলে রিপোর্ট করার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।
আসলে বাংলাদেশে কোন ফেসবুক একাউন্ট পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কারণ যখন একাউন্ট করার সময় একটি ফোন নম্বর দেয়া হয়, সেসব ফোনের ওপর যে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি থাকে, তারা চাইলে সেসব বার্তা দেখতে পারে। তখন এর মাধ্যমে তাদের পক্ষে ফেসবুকের প্রবেশ বা নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব। একাউন্ট এবং মেসেঞ্জারের লগইনের বিষয়ে সতর্ক বার্তা পাবার বিষয়টি চালু করে দিন। এরপর সেভ বাটনে ক্লিক করলে আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে। এরপর থেকে কোথাও আপনার একাউন্ট লগইন হবে,তখন আপনাকে একটি বার্তা বা মেসেজ দিয়ে জানাবে ফেসবুক।
5. দ্বি-স্তর যাচাই: এক্ষেত্রে কেউ আপনার পাসওয়ার্ড পেলেও এই কোড না থাকার কারণে লগইন করতে পারবে না। এজন্য মোবাইল নম্বর বা ফোনে একটি অ্যাপ্লিকেশান ব্যবহার করতে পারেন। সিকিউরিটি এন্ড লগইন পাতায় গিয়ে আপনার মোবাইল ফোনের নম্বরটি যোগ করে দিবেন। এরপর থেকে প্রতিবার ফেসবুকে প্রবেশের সময় বিনামূল্যে একটি এসএমএস আসবে এবং সেটি প্রবেশ করিয়ে লগইন করতে হবে।অথবা আপনি গুগল থেকে অথেনটিকেটর অ্যাপ মোবাইলে ডাউন লোড করে নিতে পারেন। এরপর ফেসবুকে এই পাতায় নতুন অ্যাপ সংযুক্ত করার বাটনে ক্লিক করলে যে কিউআর কোড আসবে, সেটা স্ক্যান করে নিলেই অ্যাপটি ফেসবুকের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপর প্রত্যেকবার ফেসবুকে প্রবেশ করতে হলে এই অ্যাপ থেকে পাওয়া কোডটি আপনার পাসওয়ার্ডের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে দিতে হবে।এই দুইটি পদ্ধতি বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করেন। এছাড়া পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ইউনিভার্সাল সেকেন্ড ফ্যাক্টর বা রিকভারি কোড ব্যবহারেরও সুযোগ আছে।
৬. একজন বন্ধুকে নির্বাচন: আপনার ফেসবুক একাউন্ট যদি কখনো আটকে যায়, তখন একজন নির্বাচিত বিশ্বস্ত বন্ধুর সহায়তা সেটি পুনরুদ্ধার করতে পারেন। ফেসবুক এর নিরাপত্তার পাতাতেই নীচের দিকে তিন থেকে পাঁচজন বন্ধুকে নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে, যারা একাউন্ট লক হয়ে গেলে বা হ্যাকিংয়ের শিকার হলে আপনাকে ফিরে পেতে সহায়তা করবে। সেখানে এডিট বাটনে ক্লিক করে তিন থেকে পাঁচজন বন্ধুকে সিলেক্ট করে দিন।
তবে কম্পিউটারটি যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে ব্রাউজারটি সেভ করে রাখলে পরবর্তীতে আর এই ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে না।
আর হ্যাঁ নিরাপদ থাকতে প্রতিমাসে ২-৩ বার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করাটা বুদ্ধিমান এর কাজ।
প্রশ্ন ৫. [ ফেসবুক এর আইডি হ্যাক হলে করণীয় কি.?
উত্তর :
১. প্রথমেই http://www.facebook.com/hacked লিঙ্কে প্রবেশ করুন।
২. এরপর “My account is compromised”-এ ক্লিক করুন। হ্যাক হওয়া একাউন্টটির তথ্য চাওয়া হলে সেখানে উল্লেখ করা ২ টি অপশনের (ইমেইল বা ফোন নাম্বার) যে কোন একটির ইনফরমেশন দিন।
৩. প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে প্রকৃত একাউন্টটিই দেখাবে এবং আপনার বর্তমান অথবা পুরাতন পাসওয়ার্ড চাইবে; এখানে আপনার পুরাতন পাসওয়ার্ড টি দিয়ে “Continue” করুন।
৪. হ্যাকার যদি ইমেইল এড্রেস পরিবর্তন করে না থাকে তাহলে আপনার ইমেইলে রিকভারি অপশন পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে হ্যাকড ফেসবুক একাউন্ট উদ্ধার করা সম্ভব।
৫. হ্যাকার যদি ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বারসহ লগইন এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করে থাকে তাহলে, Need another way to authenticate? -> Submit a request to Facebook এ ক্লিক করলে ফেসবুক প্রোফাইলটি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও আইডি সরবরাহের ফর্ম পূরণের মাধ্যমে হ্যাকড ফেসবুক একাউন্ট উদ্ধার করা সম্ভব।
৬.সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাকিং-এর শিকার হলে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারে আপনি সরাসরি নিজে এসে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়াও নিম্নবর্ণিত যে কোন মাধ্যমে অভিযোগ পাঠাতে পারেন।
হটলাইন - ০১৭৩০৩৩৬৪৩১
ইমেইল - smmcpc2018@gmail.com
ফেসবুক পেইজ- https://www.facebook.com/cpccidbdpolice/
এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার হলে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করুন।
নিজে সচেতন হই
অন্যকে সচেতন করি
নিরাপদ জীবন গড়ি
সূত্রঃ BANGLADESH POLICE MEDIA, PHQ
(Bangladesh Police এর ফেসবুক হতে সংগৃহীত) ]
আশাকরি আমার আজকের এই পোস্টটা থেকে অনেকেই উপকৃত হবেন। পোস্টটা লিখার জন্য কিছু কিছু তথ্য নেট থেকে কালেক্ট করেছি।
Comments
Post a Comment