প্রশ্ন --> ভাইয়া,কি কি স্টেপ নিলে গুগল টিমকে আমার প্রতি খুব সহজেই আকৃষ্ট করাতে পারব? আর তারা আমাকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য সিলেক্ট করবে?
উত্তর : আপনি যদি গুগলে জব করতে চান, তাহলে তার আগে প্রথমেই দরকার গুগল-ইন্টার্ভিউ এর জন্য সিলেক্ট হওয়া, যদি গুগল টিম আপনাকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য সিলেক্ট না করে, তাহলে আপনার গুগলার হয়ে উঠাও হবে না। তাই কি কি স্টেপ নিলে খুব সহজেই আপনিও গুগল টিম এর দৃষ্টি আর্কষণ করতে পারবেন, আর আপনিও হতে পারবেন একটা সময়ে গুগলার, আজকে সেটাই আপনাদের সামনে ক্লিয়ার করব। গুগলে ঢুকার রাস্তা একাধিক, তবে একাধিক হলেও আপনাকে অবশ্যই ইন্টার্ভিউ এর বোর্ডটা ফেইস করেই ঢুকতে হবে। ইন্টার্ভিউ বোর্ডটা ফেইস না করে আপনি কখনোই একজন গুগলার হতে পারবেন না। ইন্টার্ভিউ এর পার্ট টা নিয়ে আমি একদম শেষে আলোচনা করব, এখন আপনি ইন্টার্ভিউ এর জন্য কিভাবে খুব সহজেই সিলেক্টেড হতে পারবেন সেই ব্যাপারে আলোচনা করা যাক। প্রতিবছর লাখ লাখ CV জমা পড়ে সারা বিশ্বের থেকে। যেহেতু গুগল এ কোন বয়স নির্দিষ্ট করা নেই, সেহেতু মানুষের মধ্যে অনেক সুযোগ বিদ্যমান থাকে যে সে আগের থেকেও স্কিলফুল হয়ে আবারও গুগল এর জন্য ট্রাই করবে। অনেকে ১০-১৫ বছর ধরে CV দিতেই থাকে, তবুও রেসপন্স পায় না। আসলে গুগলে ইন্টার্ভিউ পাওয়া টাও ভাগ্যের ব্যাপার। তারা একটা মানুষকে জাজ করতে করতে একদম শেষ সীমানায় নিয়ে গিয়ে দেখে সে পারফেক্ট কি না গুগলের জন্য। আমার মতে যে গুগলের ইন্টার্ভিউ বোর্ডটা ফেইস করেছে, সে গুগলে জব করার যোগ্যতাও রাখে। যায় হোক...আসল কথায় আসি সেটা হলো, গুগলে ইন্টার্ভিউ পাবার জন্য বেশ কিছু মাধ্যম আছে......যেমন- প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করে, রিক্রুয়েটারের মাধ্যমে, প্রোগ্রামিং অনলাইন কনটেস্ট করে, প্রব্লেম সলভিং করে, ভাগ্য ভালো থাকলে গুগল নিজে থেকেই ডেকে নিবে Foobar এর মাধ্যমে। এর আগে আমি ফুবার নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট করেছিলাম, ভালো সফটওয়্যার কোম্পানিতে জব করলে, অনলাইনে সিভি এর মাধ্যমে। এই গুলা ছাড়াও আরও অনেক আছে। যেহেতু গুগল কোন সার্টিফিকেট, সাবজেক্ট, বয়স এই গুলা কিছুই দেখেনা। সেহেতু যারা স্কিলফুল, তারা এই দৌড়ে অনেক অনেক এগিয়ে থাকে। আর তাই গুগলে জব পাওয়াটা কঠিন, তবে অসম্ভব না। তবে আমার মতে স্কিল থাকলে গুগল এ জব পাওয়াটাও অনেক সহজ, আমরা যতটা কঠিন ভাবি, ঠিক ততটাও কঠিন কিছুই না। আসলে গুগল সমন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকলে যেটা হয়। যায় হোক, আমি আমার কথা বলি, আমি গুগল এ ইন্টার্ভিউ এর জন্য সিলেক্টেড হয়েছিলাম গুগল ফুবার এর মাধ্যমে। আর এই সম্বন্ধে বিস্তারিত পোস্ট আমার টাইম লাইনে করা আছে। যায় হোক....গুগলে জব এর জন্য আমার মতে প্রতিনিয়ত আপনাদের স্কিল ডেভোলপ করার চেষ্টা করুন, প্রতিনিয়ত অনলাইনে প্রোগ্রামিং বা প্রব্লেম সলভ করুন। চাকরী করুন কোন কোম্পানিতে। সেই সাথে চাকরী ছাড়ুন, এতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে আর সেই সাথে কোম্পানি চেঞ্জ এর অভিজ্ঞতা থাকবে, আর এতে আপনি আপনার সিভিতে অভিজ্ঞতা হিসেবে যোগ করতে পারবেন। একটু ভিন্ন ধরনের কাজ করার চেষ্টা করুন, অন্য সবার থেকে। প্রতিনিয়ত অভিজ্ঞতা নিজের সিভিতে যোগ করুন। জীবনে যা কিছুই achieve করুন না কেন, কোনটাই সিভিতে বাদ দিবেন না, সেই সাথে জীবনে কোন কিছু অর্জন না করতে পারলে এখন থেকে করার চেষ্টা করুন। সময় নিন, আস্তে আস্তে নিজেকে গড়ে তুলুন, আর সেটা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করুন। একটা সময় আপনি আপনার সিভি দেখলে নিজেই চমকে যাবেন, তারপর গুগল এ আ্যপ্লাই করুন, ইন-শা-আল্লাহ কাউন্ট হয়ে যাবে। কারণ তারা অভিজ্ঞতা চাই কাজের, যার সিভিতে অভিজ্ঞতা বেশি থাকে তারা তাদেরকেই হায়ার করে থাকে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। এবার গুগলের ইন্টার্ভিউ এর পার্ট এর ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া যাক আপনাদের। ইন্টার্ভিউ এর পার্ট থাকে ২টা ১. ফোন ইন্টার্ভিউ ( এটা হতে পারে একটা অথবা দুইটা, তবে বেশির ভাগ ৯৫% মানুষের ক্ষেত্রেই দুইটা ফোন কল ইন্টার্ভিউ দিতে হয় ), তবে এটা আপনি যেখান থেকে খুশি আর যেভাবে খুশি দিতে পারবেন। তারপর ২. আপনাকে মক টেষ্ট দিতে হবে। এই টেষ্ট একদিনে হয়। আর ইন্টার্ভিউ এর ধাপ থাকে ৪টা তার মানে আপনাকে ৪ বার এক ই দিনে ইন্টার্ভিউ দিতে হবে। আপনাকে সামনা সামনি প্রোগ্রামিং লিখতে হবে, নিজের হাতে লিখতে হবে। আর আপনি আপনার ইন্টার্ভিউ এর টাইম নিজের ইচ্ছা মতো সেট আপ করে নিতে পারবেন, সেই সাথে কোথায় দিবেন বা কিভাবে দিবেন সেটাও। আশাকরি আজকের পার্টটা অনেক এর উপকারে আসবে। আর হ্যাঁ.... একটা মজার কথা বলে শেষ করি সেটা হলো আপনি গুগলে চাকরী পেলে আপনাকে বলা হবে- ‘Googler’। কিন্তু নতুন অবস্থায় আপনাকে বলা হবে- ‘Noogler’।

Comments

Popular posts from this blog