অনেকেই আমার কাছে এই প্রশ্নগুলো একাধিকবার করেছে। প্রশ্নগুলোর আকারে উত্তর নিচে পোস্ট করা হলো...
প্রশ্ন ১. ভাইয়া আমি তো EEE তে পড়ছি বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এ পড়াশুনা করছি, আমি কি গুগল বা নাসা বা অন্য কোথাও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবো.?
উত্তর : অবশ্যই কেনো নয়। তুমি যদি গুগল বা মাইক্রোসফট বা অন্যান্য বড় বড় জব প্লাটফরম প্লেস গুলোর দিকে তাকাও তাইলে দেখতে পারবে সেইখানকার বেশীর ভাগ ইঞ্জিনিয়ার গুলোই অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর। আসলে এই সব প্লাটফরম গুলোতে সার্টিফিকেট বা তুমি কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে পড়াশুনা শেষ করেছ সেইগুলা দেখার থেকে তারা দেখে থাকে তোমার মধ্যে কি স্কিল আছে সেটা। তুমি প্রোগ্রামিং সমন্ধে আসলে ঠিক কতোটুকু জানো, তোমার ব্যাসিক কতোটা স্টং আর সেইসাথে তোমার ক্রিয়েটিভিটি কতোটা হাই। তারা শুধু এইগুলাই দেখে থাকে, এর বাইরের কিছুই তারা দেখে না। যদি তারা দেখে তুমি তাদের কাজগুলো করার উপযুক্ত তারা তোমাকেই সিলেক্টেড করে নিবে তাই এইগুলা নিয়ে না ভেবে যদি তোমাদের সত্যিই ইচ্ছা থাকে এমন কিছু করার বা হওয়ার, তাইলে আমার মতে তোমাদের এখন থেকে মনোযোগ হওয়া উচিৎ। এখন থেকে নিজেকে ওইভাবে গড়ে তোলো তাহলে দেখবে তুমি পারবে তাদের একজন হতে।
প্রশ্ন ২. ভাইয়া গুগল এ জব করার জন্য কোন নির্ধারিত বয়স আছে কি..??
উত্তর : আমার জানা মতে নেই। তার কারণ আমার দেখা + জানা মতে গুগল এ এমন অনেকেই আছেন, যাদের বয়স ৬০++। ইভেন আমি এমন কয়েকজন কেও দেখেছি যে গুগল এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে কিন্তু তার বয়স মাত্র ১৩। এইরকম অনেক এই আছে। এই থেকেই বুঝা যায়, গুগল বা এই লেভেল এর প্লাটফরম গুলোতে বয়স, সার্টিফিকেট, ডিপার্টমেন্ট কোন ফ্যাক্ট করে না। ফ্যাক্ট করে যোগ্যতা।
প্রশ্ন ৩. গুগল এর জন্য কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর উপর দক্ষ হলে ভালো হবে.?
উত্তর : গুগল আমাদের জন্য অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে ঠিক যেমন, ইন্টার্ভিউতে গুগলাররা আপনাকে বলবে, আপনি আপনার পছন্দ মতো যে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করতে পারেন। তারা আসলে দেখতে চায়, আপনি আপনার পছন্দের বা আপনার দক্ষ ল্যাংগুয়েজ এ আপনি ঠিক কতোটা পারদর্শী। তারা আপনাকে যাচাই করে নিবে আপনার ব্যাসিক কতোটা স্টং। তাই আমার মতে গুগল এর জন্য পারলে পাইথন এর উপর দক্ষ হতে পারেন। তার কারণ পাইথন এ অনেক সুবিধা আছে। প্রথম সুবিধা কোড করতে তেমন ঝামেলা নেই, অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এ যেমন ধরেন আমি জাভার কথায় ই ধরি, জাভাতে যে কোড করবেন সেই একই কোড পাইথন এ করলে অনেক অল্প কোড করতে হয় বা অনেক অল্পতেই হয়ে যাবে। আবার আপনাকে যখন মক টেষ্ট এর জন্য ডাকা হবে তখন তারা আপনাকে তাদের সামনে সাদাবোর্ড বা ডক ফাইল এ প্রোগ্রামিং লিখে দিতে বলবে। অনেক এক্সপার্ট প্রোগ্রামার রা সারাজীবন কম্পিউটার এই প্রোগ্রাম করে এসেছে, কিন্তু কখনোই তারা প্রোগ্রাম নিজের হাতে লিখে নাই। এই ক্ষেত্রে এটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। এই ক্ষেত্রে পাইথন এ কোড করা অনেক সহজ হবে কারণ পাইথন এ array ba symbol তেমন নেই বললেই চলে। যে কোড গুলা পাইথন এ আছে, সেইগুলা হাতে লিখা অনেক সহজ অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর থেকে। এই জন্য আমার মতে পাইথন বেস্ট।
প্রশ্ন ৪. ভাই আপনি তো বলেছিলেন, গুগল বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড জব গুলোতে সার্টিফিকেট তেমন দেখে না তাইলে এই ক্ষেত্রে ভিসা পেতে কি কোন প্রব্লেম হবে.?
উত্তর : যদি আপনি গুগল এর মক টেষ্ট এ সিলেক্টেড হন, তাইলে তারা আপনাকে সামনা সামনি ইন্টার্ভিউ নেওয়ার জন্য কল করবে। যেহেতু আমরা বাংলাদেশি সেহেতু এটা ইন্ডিয়া বা এর আশেপাশের কোন দেশ এ হবে। তারমানে আপনার আশেপাশের যে দেশগুলোতে গুগল এর অফিস আছে সেইখানে দিতে পারবেন বা আপনি ইচ্ছাকরলে কোন কান্টি নিজের থেকেই সিলেকশন করে নিতে পারবেন। আর এর জন্য ভিসা থেকে শুরু করে সবকিছুই গুগল কর্তৃপক্ষ দিবে তাই এইখানে টেনশান এর কিছুই নেই।
প্রশ্ন ৫. গুগল এ জব করলে আসলে কতোটাকা মাসে পাওয়া যায়.?
উত্তর : এই প্রশ্নটা আমাকে অনেকেই করেছে। ইভেন অনেকে দেখি টাকা দেখে গুগল এ জব পাবার জন্য অস্থির। এইগুলা আসলে খুব ই হাস্যকর। অনেকে বলে ভাই গুগল এ জব করলে কতোটাকা একবার শুনেছিলাম ১৬ লাখ আবার শুনি ১ কোটি। অনেক জায়গাতে ঘেটেছি কিন্তু এর উত্তর পায় নি। আসলে সত্যি কোনটা। কতোটাকা গুগল আসলে প্রতিমাসে দেয়। আসলে এই প্রশ্ন গুলা শুনলে সত্যি বলতে, আমার খুবই হাসি পায় সেই সাথে প্রচণ্ড রাগ ধরে উক্ত ব্যাক্তির উপরে। আমি তখন চিন্তাকরি উক্ত ব্যাক্তির মানুষিকতা দেখে। আসলে আমার মতে গুগল এ সবাই যায় টাকা দেখে না, ভালোবেসে আর সেই সাথে সম্মান এর জন্য। সম্মান আসলে টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায় না। কিন্তু গুগল এ জব করলে সম্মান + টাকা দুটোই পাওয়া যায়। কেউ যদি সম্মান এর থেকে টাকার পিছনে ছুটে তাইলে সে আমার মতে এখনো প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে নি। যায় হোক আসল কথায় আসি, গুগল এ এখনো সিলেক্টেড হন নি, তার আগেই গুগল কতোটাকা মাসে দেয় এটা নিয়ে পড়ে থাকা অনেক হীন মানুষিকতার পরিচায়ক। যায় হোক আমার জানা মতে, গুগল এ বিভিন্ন লেভেল এ স্কেল থাকে। যারা প্রথমে যায় তাদের একটু কম আর আস্তে আস্তে স্কিল এর সাথে বেতন বাড়ে। তবে শুরুতেই বাংলাদেশী টাকায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন ১ কোটি ৩৫ লাখস। তবে এইগুলা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে।

Comments

Popular posts from this blog