#Freelancing পার্ট ১:->
গতদিনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন, ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে শুরু করতে। তাই আজকে আমি ফ্রিল্যান্সিং দিয়েই শুরু করছি। প্রথমেই কিছু কথা বলে নেই, আমরা বাঙ্গালীজাতি আসলে বুঝি না, আমাদের কি করা উচিৎ বা কোনটা করা উচিৎ বা কিভাবে করা উচিৎ। আমরা আবেগী জাতি। এই জন্য আমরা আবেগে গা ভাষিয়ে দেই, কিন্তু বাস্তবতাটা বুঝতে চেষ্টা কখনোই করি না। একটা জিনিষ ভালোভাবে না শিখা পর্যন্ত আমাদের কোন মতেই উচিৎ না, সেই জিনিষ নিয়ে আগানো, প্রবাদে আছে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। যায় হোক এই কথা গুলা কেন বললাম, আশাকরি পোস্ট এর শেষ এ বুঝতে পারবেন কিংবা আমি বুঝিয়ে দিব। চলুন দেরি না করে, শুরু করা যাক ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারে পোস্টটার। এর আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম আমি একদম 0 লেভেল থেকে শুরু করবো, আস্তে আস্তে 0 লেভেল থেকে তারপর প্রাইমারী দ্যান কম্পেটিভ এ আসবো। কারণ আমি চাই, আপনারা শুরু থেকেই শিখুন সেই সাথে নিজেদের ব্যাসিকটা ক্লিয়ার করে ধাপে ধাপে আগান। তার ই ধারবাহিকতায় আমার আজকের প্রথম পোস্ট........
প্রশ্ন ১: ফ্রিল্যান্সিং টা আসলে কি..?
উত্তর :-> আসলে একদম মূল কথার এক কথায় আসি, ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা আসলে বুঝি কাজ করে টাকা ইনকাম করাকে। সেটা হতে পারে কোন মুক্ত কাজ। যে কাজ এর কোন ধরা বাঁধা নিয়ম থাকবে না। আমার ইচ্ছা হলে আমি কাজ করলাম, ইচ্ছা না হলে কাজ করবো না। আশাকরি আমার এই একটা কথাতেই বুঝে গেছেন, ফ্রিল্যান্সিং টা আসলে কি। আচ্ছা আপনাদের আরও সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছি, অনেকেই তো জব করেন তাই না, তো জব নিচ্চয় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত করেন। তবে এইখানে কিন্তু নিজের ইচ্ছামতো আপনি চলতে পারবেন না কারণ আপনি অফিস এর কাজে সেই সাথে বস এর কাছে বাধাঁ। তাই চাইলেও নিজের স্বাধীনতা বোধ থাকবে না। তবে এই দিক থেকে ফ্রিল্যান্সিং টা টোটালি উল্টো আপনি যদি স্কিলস ম্যান হয়ে থাকেন আর যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আপনি কোন ধরা বাধাঁ নিয়ম এ যাবেন না, নিজেই স্বাধীনভাবে কিছু করবেন। নিজের ইচ্ছামত কিছু করবেন সেই ক্ষেত্রে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংটা বেছে নেয়। তারমানে বলতে পারি আমরা, ফ্রিল্যান্সিং টা হলো মুক্তপেশা। ধরুন আপনি অনেক ভালো আর্ট করতে পারেন কিংবা খুব ভালো সফটওয়্যার কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ওয়েব সাইট ডিজাইন কিংবা আপনি কম্পিউটার এর অফিস ওয়ার্ল্ড এর কাজ ই না হয় জানেন, আপনি আপনার অফিস এর কাজের সেই সাথে চাপ এর উপরে খুব ই বিরক্ত সেইক্ষেত্রে আপনি যেহেতু এই ব্যাপারে দক্ষ সেহেতু চাইলেই অনলাইন এ কাজ করে নিজের স্বাধীন ইচ্ছামত টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে বর্তমানে স্টুডেন্টরা এমন পেশায় নিজেদের সবথেকে বেশী নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা আসি, আউটসোর্সিং টা আসলে কি..?
প্রশ্ন ২ : আউটসোর্সিং টা আসলে কি?
উত্তর : আউটসোর্সিং প্রাধানত দুই প্রকার এক. আউটসোর্সিং এবং দুই. অফশোর আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং বলতে আমরা প্রাধানত বুঝি, নিজের কাজটা নিজে না করে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াটা। সেটা হতে পারে কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে কিংবা কোন কোম্পানিকে দিয়ে দুটোই। ধরুণ A নামে একটা কোম্পানি একটা পোডাক্ট বানাবে কোন কারণে তারা সেই পোডাক্টটা নিজেরা না বানিয়ে অন্যকে মানে ( B নামের ) একজনকে দিয়ে বানিয়ে নিতে চাইলো। এইখানে A আউটসোর্সিং ( করলো ) আর B ফ্রিল্যান্সিং ( করলো )। ব্যাপারটা কি বুঝতে কষ্ট হলো, নাকি আরও সহজভাবে উদাহরণ দিব, ধরুণ আমি আমার কথাই বলি, আমার কোম্পানি এর নাম দিলাম, রুহুল সফটওয়্যার কোম্পানি, লিমিটেড ( সংক্ষেপে RSCL )। এখন আমার কোম্পানিতে কিছু প্রব্লেম এর কারণে আমি মনে করলাম, আমার কিছু কাজ আমি, অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিব ( এটা হতে পারে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন ব্যাক্তি ) তাহলে আমি যাকে দিয়ে করাবো তার জন্য আমি অবশ্যই অনলাইন এ সার্চ দিব কিংবা আমার যদি কোন পরিচিত ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান থাকে তাকে দিয়ে করিয়ে নিব। তাহলে আমি এইখানে আউটসোর্সিং করলাম, আর যাকে দিয়ে কাজটা করালাম সে অর্থের বিনিময়ে ফ্রিলানসিং করলো। তাহলে সহজেই বুঝে গেছেন এখন, আউটসোর্সিং আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্যটা। অফশোর আউটসোর্সিং বলতে বুঝায় যখন আপনার একটি কাজ নিজের দেশে না করিয়ে দেশের বাইরে থেকে করিয়ে নিবেন তার মানে, আমি এখন বাংলাদেশে আছি। এখন বাংলাদেশে থেকে যদি আমার কাজটা আমি বাংলাদেশ এর বাইরের থেকে করিয়ে নেই ( সেটা হতে পারে, আমেরিকা, চিন, নেপাল, ভারত ইত্যাদি... ) এটাই অফশোর আউটসোর্সিং।
এখন আসি, ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস সমন্ধে।
মার্কেটপ্লেস : ফ্রিলানসিংদের মার্কেটপ্লেস বলতে গেলে, বলতে হয় একদম সহজ কথায়, এই পুরো পৃথিবীটাই তাদের কর্মক্ষেত্র ইভেন তাদের মার্কেটপ্লেস। এই একটা কথাতেই বোঝা যায়, এদের মার্কেটপ্লেস কিংবা কাজের পরিধি ঠিক কতোটা বিস্তৃত। সাধারণত ফ্রিল্যান্সররা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। মূলত এই মার্কেটপ্লেসগুলো আউটসোর্সিংকারিদের সাথে ফ্রিল্যান্সারদের সংযোগ স্থাপন করে থাকেন। যারা আউটসোর্সিং বা জব পোস্ট করে থাকেন তাদের বলা হয় বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং যারা কাজগুলো সম্পন্ন করেন তাদের বলা হয় সেলার বা ফ্রিল্যান্সার। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তালিকায় রয়েছে ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম, গুরু.কম সহ আরো বেশ কিছু অনলাইন সাইট রয়েছে। মার্কেটপ্লেসগুলো সেলারদের কাছ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১০% থেকে ২০% পর্যন্ত চার্জ নিয়ে থাকে। এই সাইটগুলোতে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কাজ শেষ হওয়ার পর ক্লায়েন্ট এর কাছে বারবার টাকা চাওয়া বা ধর্না দেয়ার বিষয় থাকে না। কারন সবকিছু ঠিকঠাক সম্পন্ন হলে ক্লায়েন্ট এর একাউন্ট থেকে অটোমেটিকালি সেলার এর একাউন্টে ডলার চলে যায়। আর এইগুলো খুব ই ট্রাস্টেড হয়।
আর এইসব জায়গাতে কাজ এর পরিধিও ব্যাপক পরিমাণে থাকে। পৃথিবীতে প্রায় সব কাজ ই অনলাইন এ করা যায়। কি আশ্চর্য হলেন বুঝি, এখন বলতে পারেন, ভাই এই কথাটা আপনি মিথ্যা বললেন
আসলে আপনারা কি কখনো এইগুলা নিয়ে বিস্তারিত ঘেটেছেন, যদি ঘাটতেন তাহলে সহজেই আমার কথাটা স্বীকার করে নিতেন। আপনি কি পারেন, শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং পারেন তাও C কিংবা C ++ জ্বী আপনাকেই বলছি, আপনাদের জন্যও ফ্রিলানসিং আছে, কি বিশ্বাস হয় না, তাহলে চলে যান এই সাইট এ ( https://www.freelancer.com/jobs/c-programming/ ) ( https://www.freelancer.com/jobs/cplusplus-programming/ ) গিয়ে নিজেরাই দেখে নিন। আপনি শুধুমাত্র মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ল্ড এর কাজ জানেন কিংবা এক্সছেল এর, জ্বী আপনাদেরও কাজ আছে, কি বিশ্বাস হয় না, তাহলে নিজেই দেখে নিন ( https://www.freelancer.com/jobs/microsoft-access/ ) তাহলে কি বুঝলেন, আমার কথা সত্যি তো। আসলে আমাদের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, বস বস পাবলিক কিংবা বস বস সব জিনিষ না জানলে আসলে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। আসলে আপনাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করার জন্যই শুধুমাত্র এই গুলা দেওয়া। তবে আপনাকে অবশ্যই স্কিলস হতে হবে এই লাইন এ আসতে হলে, পৃথিবীর প্রতিটা কাজ আপনার শিখার কোন দরকার নেই, আপনি যেটাই পারেন না কেন, সেটা ভালো ভাবে আগে রপ্ত করুণ। যে কাজ করতে আপনি আনন্দ পান, আপনার ভালো লাগে আপনি সেই কাজটাই ধরুণ সেই সাথে করুণ তবে সেটা অবশ্যই ভালোভাবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এর সেক্টর : এই সেক্টর এ যে কতো কাজ আছে, আপনারা নিজেই তা দেখে নিন, ( https://www.freelancer.com/job/ )।
1. Websites, IT & Software : ( PHP, HTML, WordPress, JavaScript, Software Architecture.... )
2. Mobile Phones & Computing : (
Mobile App Development, Android, iPhone, iPad, Kotlin.... )
3. Writing & Content :
( Article Writing, Content Writing, Article Rewriting, Copy Typing, Copywriting.... )
4. Design, Media & Architecture : (
Website Design, Graphic Design, Photoshop, CSS, Logo Design.... )
5. Data Entry & Admin : (
Data Entry, Excel, Data Processing, Web Search, Virtual Assistant.... )
6. Engineering & Science : (
AutoCAD, Electrical Engineering, Engineering, Electronics, Machine Learning (ML).... )
7.Product Sourcing & Manufacturing : (
Product Design, Supplier Sourcing, Amazon, Manufacturing, Product Sourcing.... )
8. Sales & Marketing :
( Internet Marketing, Marketing, Social Media Marketing, Facebook Marketing, Sales.... )
9.Freight, Shipping & Transportation : (
Dropshipping, Shipping, Import/Export, Logistics, Car Driving.... )
10. Business, Accounting, Human Resources & Legal : (
Accounting, Business Plans, Finance, Business Analysis, Project Management.... )
11.Translation & Languages : (
English (US), English (UK), English Grammar, English Spelling, Spanish.... )
12. Local Jobs & Services : (
Local Job, Teaching/Lecturing, General Labor, Drafting, Cooking & Recipes.... )
13. Other :
( Anything Goes, Appointment Setting, Fitness, Freelance, Video Game Coaching... )
আপনি যদি প্রতিটা সেক্টর এ গিয়ে দেখেন, তাহলে দেখতে পারবেন, কতোটা বিস্তৃত কাজ এর পরিধি। কি নেই, সব সেক্টর এর কাজ ই আছে। শুধুমাত্র আপনার স্কিলস এর উপরে ডিপেন্ড করবে সবকিছু। যদি কিছু নাও পারেন, তবুও এইসব সাইট এ গিয়ে উঁকিঝুঁকি মারবেন, তাহলে শিখার ইচ্ছা সেইসাথে আগ্রহটা বৃদ্ধি হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য :
১.যাদের গতানুগতিক ৯ টা - ৫ টা অফিস করতে ভালো লাগেনা।
২. যাদের সরকারি-বেসরকারি বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির জব ভালো লাগে না।
৩.যারা নিজের স্কিল সম্পূর্ণ নিজের মতো করে ব্যবহার করতে চায়।
৪. যাদের ইংরেজি এবং অন্যান্য ভাষা সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে এবং তা নিয়মিত ব্যবহার করতে ইচ্ছুক।
৫. যারা বিদেশী ক্লায়েন্ট বা বিদেশীদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
৬. যারা নিজের বাসায় বসে, নিজের সময়মতো কাজ করতে ইচ্ছুক।
৭. যারা পড়াশুনা এবং জবের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য কিছু করতে ইচ্ছুক।
৮. যাদের সারাজীবন সৎ পথে অতিবাহিত করার ইচ্ছা এবং মানষিকতা আছে।
৯. যাদের প্রতিনিয়ত নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে।
১০. যাদের নতুন নতুন বিষয় প্রতিনিয়ত শেখার ইচ্ছা আছে।
১১. যাদের অসম্ভব ধৈর্য আছে এবং ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত লেগে থাকার।
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আগে যা জানা গুরুত্বপূর্ণ :
১. আগে নিজেকে জানুন। আপনার কি ভালো লাগে, আর সেই সাথে ভালো লাগার মাত্রা ঠিক কতটুকু।
২. আপনি কি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক? যদি জেনে না থাকেন, তাহলে বিশেষজ্ঞ এবং এই সেক্টরে কাজ করছে এমন কারো পরামর্শ গ্রহণ করুন। সেইসাথে পারলে গুগল করুণ।
৩. আপনার ধৈর্যের সীমা জানুন।
৪. আপনি কি ফলাফল প্রাপ্তি পর্যন্ত ধৈর্য ধারন করতে পারবেন?
৫. আপনি কি প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা কাজ শেখার পিছনে ব্যয় করতে পারবেন?
৬.আপনার কি নতুন নতুন বিষয় শেখার প্রতি আগ্রহ আছে?
৭.আপনি কি অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ এবং কাজ করা, এই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত আছেন?
ভালো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য যে সকল বিষয়ে মাথায় রাখা প্রয়োজন :
১. নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করাঃ নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রথমেই আপনাকে কাজ শেখা এবং করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। সে সময়সূচী এমনভাবে মানতে হবে যেনো অন্য কোনো কিছু আপনাকে বায়াসড করতে না পারে।
২. কঠোর পরিশ্রম করার মানষিকতাঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। কাজ শেখা থেকে শুরু করা কাজ করা, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সব পর্যায়েই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাই সেভাবেই নিজেকে তৈরি করুন।
৩.শেষ পর্যন্ত লেগে থাকাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি কখনোই বলতে পারবেন না সাফল্য কখন ধরা দিবে। তাই কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করা এবং শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবে।
৪. কম্পিউটার এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাঃ অবশ্যই আপনাকে বেসিক কম্পিউটার জানতে হবে এবং বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের জন্য সাবলিল হতে হবে।
৫. অর্থ নাকি দক্ষতা উন্নয়নঃ শুরু থেকেই অর্থের পিছনে না ছুটে নিজের দক্ষতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করা উচিত। দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অর্থই আপনার পিছনে ছুটবে। তাই ধৈর্য ধরুন।
৬. প্রোফাইল তৈরি করাঃ একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পূর্ব শর্তই হচ্ছে একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। কারন আপনি ক্লায়েন্ট এর কাছে পৌঁছাতে পারবেন না কিন্তু আপনার প্রোফাইলটিই আপনার হয়ে কাজ করবে। তাই প্রোফাইল এর মান বৃদ্ধির প্রতি মনোনিবেশ করুন।
৭. ব্রান্ডিং করুনঃ আমেরিকার একজন ক্লায়েন্ট কিন্তু আপনাকে চিনে না বা জানে না। তাকে চেনানো এবং জানানোর জন্যই আপনার নিজের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। বিভিন্ন স্যোশাল সাইটগুলোতে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করুন, নিজেকে সঠিকভাবে তুলে ধরুন।
যাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নয় :
১.যারা শর্টকাটে সাফল্য পেতে চান।
২. যারা অল্প কাজ শিখেই আয় করতে চান।
৩. যাদের নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি মনোযোগ নেই।
৪. যারা মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং মানেই ঘরে বসেই মাস শেষে ৫০/৬০ হাজার টাকা আয় করা।
৫. যারা মনে করেন ৩/৪ মাসের একটি কোর্স করলেই মেন্টর সব শিখিয়ে দিবেন এবং পরবর্তীতে আর কিছু শেখা লাগবে না।
৬. যারা ভাবেন, “কিছুদিন দেখি, পরে শিখে নিবো নে”।
৭. যারা নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট পরিমান সময় দিতে পারবেন না।
৮. যাদের পরিশ্রম করার মানষিকতা এবং সামর্থ্য নেই।
৯. যারা অল্প পরিশ্রমে বেশী আয় করতে চান।
যায় হোক আমার আজকের এই পোস্ট এই পর্যন্তই আশাকরি পরবর্তী পোস্ট এ ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে, প্রাথমিক ধারণা দিব। আমার আজকের পোস্ট এ এই টপিকস এ কারো কোন কিছু বুঝতে প্রব্লেম হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আশাকরি এই পোস্ট থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপারে আপনারা 0 লেভেল থেকে কিছুটা হলেও ধারণা পেলেন। যেটা আপনাদের পরবর্তী ধাপ এ কিছুটা হলেও আগ্রহী করে তুলবে। পোস্ট এর খুব এ অল্প অংশ নেট থেকে কালেক্ট করা। ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন।
Comments
Post a Comment